ইসলাম কেবল একটি ধর্ম নয়, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। আমাদের চালচলন, কথাবার্তার মতোই পোশাক-পরিচ্ছদও ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক। ইসলাম পরিচ্ছন্নতা ও রুচিশীলতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। আসুন, পোশাকের মাধ্যমে কীভাবে ইসলামিক আদর্শ ফুটিয়ে তোলা যায়, তা জেনে নিই।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
আল্লাহ তায়ালা সুন্দর এবং তিনি সৌন্দর্যকে ভালোবাসেন। এই সৌন্দর্য শুধু আমাদের অন্তরেই নয়, আমাদের বাহ্যিক পরিচ্ছন্নতা ও পোশাক-পরিচ্ছদেও প্রকাশ পায়। ইসলাম আমাদেরকে এমন পোশাক পরার নির্দেশনা দেয় যা শালীন, মার্জিত এবং আমাদের ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তোলে।
পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অর্ধেক।” (সহীহ মুসলিম)। এর অর্থ হলো, আমাদের পোশাক শুধু সুন্দর হলেই চলবে না, তা অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হতে হবে। বিশেষ করে জুম্মার দিন এবং ঈদের মতো উৎসবগুলোতে সুন্দর ও পরিষ্কার পোশাক পরা সুন্নাহ। একটি সাদা বা হালকা রঙের পাঞ্জাবি এই রুচিশীলতার সেরা উদাহরণ।
পোশাক কি অহংকারের প্রতীক?
ইসলামে পোশাকের মাধ্যমে অহংকার বা লোকদেখানো মনোভাবকে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। পোশাক হবে আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায়ের একটি মাধ্যম, নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের জন্য নয়। একটি সাধারণ কিন্তু রুচিশীল পাঞ্জাবি একজন ব্যক্তিকে বিনয়ী ও মার্জিত হিসেবে উপস্থাপন করে।
আমাদের দায়িত্ব:
ZAZ BAZAAR-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ব শুধু পোশাক বিক্রি করাই নয়, বরং ইসলামিক সংস্কৃতির সাথে মানানসই রুচিশীল ও শালীন পোশাক ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আমরা যখন একটি পাঞ্জাবি বা যেকোনো পোশাক কিনি, তখন আমাদেরও খেয়াল রাখা উচিত তা যেন ইসলামিক আদর্শের পরিপন্থী না হয়।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাঁর নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
(এই পোস্টটি ZAZ BAZAAR-এর সংগ্রহ থেকে আপনার ব্যক্তিত্বের সাথে মানানসই মার্জিত পাঞ্জাবিগুলো দেখতে উৎসাহিত করছে।)
nice